Wednesday 29 August 2012

অলংকার


অলংকার

ডায়মন্ডের 
দায় মন্দ
গোল্ডে গলদ

বড় জন যে
তারে ব্রোঞ্জে
লাগে একখানা বলদ

কানে সিল্ভার
তার কী যে ভার,
ভীষণ আশঙ্কার

লোমুনিয়ামে
ভুলো অনীহা মেয়ে,
গড়াও অলংকার।

Monday 30 July 2012

বৈমানিক



বৈমানিক

বৈমানিক বৈমানিক
এয়ারপোর্ট কই মানিক?

সারা বেলা ঘুরছ তুমি একখানেই,
বললে বোলো ‘উহার কোন ব্যাখ্যা নেই’

বলছ তুমি ‘নীল মেঘেরা
আবোল তাবোল গুল্মে ঘেরা,
দাড় কাঁকেরা দিচ্ছে কেমন রোশনাই,
চল ঝাঁপাই প্যারাসুটে 
ওই যেখানে ভেড়া ছুটে
বিমান ফেলে যাওয়ায় তেমন দোষ নাই

একটু পরেই যাত্রী সকল পাইলো টের

বিমানটিতে নাই নিশানা পাইলটের ।

Thursday 19 August 2010

পার্টি, পার্টি!

পার্টি, পার্টি!

ভরে গেছে ঘর বোকায়
কেউ উঁচা, কেউ খর্বকায়


কারও মুখে মন্ডা-মিঠে,
কারও নাকে নস্যি,
কেউ বা বলেন কথার পিঠে
‘অবশ্যি, অবশ্যি’


কেউবা বেজায় অকর্মন্য
কেউবা গ্যাঁজায় মোবাইলে
কেউবা চেঁচায় হয়ে হন্য
‘তুমি হামায় ডোবাইলে’


এদের মধ্যে পরিপাটি
সুত্রাপুরের অর্ঘ্য সেন,
মুখে মাখেন খড়িমাটি
মাথায় দুধের সর ঘষেন ।

Thursday 5 August 2010

মানুষের শোভা পায় ?

মানুষের শোভা পায় ?

ক্ষণে ক্ষণে চেঁচিয়ে ওঠে কার মেয়ে  ?
কী হয়েছে ? কামড়িয়েছে সারমেয় ?


অনেক ব্যথা লাগল, আহা, মানছি রে,
করছ কি হায় ? খাচ্ছ ডগির কান ছিঁড়ে ?


না হয় কুকুর কামড়িয়েছে, পুষ্পদি’,
তুমিও কি তাইলে হবা চতুষ্পদি ?

Saturday 26 June 2010

সঙ্গীত-প্রতিভা

সঙ্গীত-প্রতিভা

শুনতে পেলে গান মোর ওগো
চেঁচিয়ে কাঁদে বন-মোরগও।

ভরলে ভুবন বাঁশীর সুরে
গিট্টু লাগে হাতীর শুঁড়ে।

সুর সাধিলে তানপুরায়
বধির বলেন ‘কান পুড়ায়’।


এমন আমার গানের মেধায়
সকলে দিক্বিদিকে ধায়।

জীব-জন্তুর কান্ড

জীব-জন্তুর কান্ড

আগের রাতে ভাজা রুটি
খাচ্ছে কেন সজারুটি ?


শণি গ্রহের বাষ্প-রিং
চাবায় কেন ঘাষ-ফড়িং ?

সাবান দিলে ব্যাঙ গায়
চেঁচায় কেন ছ্যাঙায় ?


‘একটু দৌড়া, জিরা ফের’
এ কী কথা জিরাফের ?

উৎসব

উৎসব

নব বধু খেঁক শিয়ালের

পড়ে আছে ম্যাক্সী হালের ।

মাকড়শা আর মুরগীতে

ভুবন মাতায় সুর-গীতে ।

বালি হাঁসের সোনালী ছাও
দেখে অবাক মোনালিসাও।

জোড়ায় জোড়ায় রাম ছাগলে
নাচ্ছে কেমন গামছা গলে’ ।

রমরমা এই অনুষ্ঠানে
ছিলিম কেন মানুষ টানে ?

Monday 21 June 2010

পালোয়ান

পালোয়ান

দস্তগীর পল্লবীর
মস্ত ধীর মল্ল বীর,



কিন্তু তাকে নারিন্দায়
পাশের বাড়ির বারিন্দায়
ঝুলিয়ে দিল পা বেঁধে
চিকুন-চাকুন জাভেদে।


আবার তাকে নীলক্ষেতে
দেখল কারা কিল খেতে
মূর্ছা গেল ঘায় ফুলের,
পল্কা হাতে সায়ফুলের।



Saturday 19 June 2010

কেন ?

কেন? 

ঠান্ডু মিয়ার বাউন্ডুলা মেয়ে
ঝুলছে কেন পেন্ডুলামে ?

বলতে পারে আরশাদুলে
যার কপালে বর্শা দুলে,
আনতে গিয়ে চালতা ফের
বাগান থেকে আলতাফের।

Friday 18 June 2010

নদীতে- নদীতে

নদীতে- নদীতে

শীতলক্ষায়
ভীত লোক খায়
কুমীরের ঘুষি।

সুরমার ধারে
বুড়ো মা’র ঘাড়ে
চড়ে মৌটুসি।

যত সাতরাই
সরু আত্রাই
তত হয় টানা।

পশুর নদীতে
শ্বশুর গদীতে
ভয়ে আধখানা।

নাফ-আদালতে
বিচারের মতে
দিলো ব্যাঙ রায়ঃ

ঘণ গারদে
শুধু পারদে
রবে ট্যাংরায়।

Sunday 21 February 2010

কোথায় ওরা?

কোথায় ওরা?

কোন সে মাযের পানসে লাগে মিষ্টি শিশুর হাসি
কোন বিড়ালে দিন ফুরালে মন করে উদাসী ?

কোন সে হাঁসের বোন সে পাশের বাড়ির নালায় ঘুরে
কোন হনুমান বনেই ঘুমান মাথায় বালিশ মুড়ে ?

কোন কবুতর গরুর গুঁতোর ভয়ে কাটায় কাল
কোন প্রভু তোর মন কভু তোর করেননি নাকাল ?





Friday 19 February 2010

মহৌষধ

মহৌষধ

হয় আপেলের নয় পেয়ারার
রসের সঙ্গে বয় বেয়ারার
চোখের পাপড়ি কয়েক বস্তা,
ধাতুর মধ্যে কেবল দস্তা,

পচিঁশ চামচ পটাশিয়াম
গুনে গুনে আটাশি আম,

মিশিয়ে গিলেন ধন্বন্তরি
জীবন হবে অনন্ত'র-ই।

Saturday 26 December 2009

নাম

নাম

মনসুর আলির মন সুরেলা
কাশিম আলির কাশি,
রাহাত খানের বা’হাত খানির
টাকায় মূল্য আশি।

মোজাফ্ফরের মোজা পরের
জামাল ভাইয়ের জামা,
বসুনিয়ার গো’ শুনিয়া
শামা রেগেই তামা।

জুলফিকারের জুলফি তারের
আহম্মেদের মেদ,
জাফর-উলের কাপড় উলের
মাজেদ মিয়ার জেদ।

আয়েশআরা দায়সারা
খামোখাই খাটে;
সুতোপায় জুতোপায়
বিছানায় হাটে।

ক্ষণিকের

ক্ষণিকের

তোমায় আমি দিলাম আমার পরাণটি
বুঝিয়া লও চার বছরের গ্যারানটি।

তাহার পরে ধরবে অনেক ব্যারাম ওতে
বাকি জীবন কাটবে তোমার মেরামতে।

Saturday 28 November 2009

দুল

দুল

হারিয়ে গেলো নদীর জলে
ওগো রূপার দুল,
কে গোরু পার করতে গিয়ে
করল এমন ভুল ?


দুলের খোঁজে ডুবুরীরা
খাচ্ছে জলে খাবি,
মোর সে দুলের খবর জানে
মোর্শেদুলের ভাবী।

Saturday 21 November 2009

বাজারের লিস্ট

বাজারের লিস্ট

এই যে ধর ফর্দ মা’র-


পঁচা ইঁদুর নর্দমার,
তেলাপোকার পায়ের আচার,
বন-বেড়ালের ভায়রা চার।

করতে হলে হাইজেনিক
হাল্কা তেলে ভাইজা নিক।

যাবার বেলায় বৌমা ছি,
গিলছ কেন মৌমাছি ?

Thursday 19 November 2009

অর্ধ-মানব

অর্ধ-মানব

ধার করা গোঁফ হাতে
বসে আছে সোফাতে,
টাক মাথা ঢেকে রাখে পরচুলা,

দুটি দাঁত পিতলের
ভাজি খায় চিতলের
রান্নার ঘরে জ্বলে বড় চুলা।

হাত দুটো দস্তার
মোটামুটি সস্তার
খুব বেশী দাম হতো আকরিকে,

চোখে কাঁচ আতশীর
তাতে অবনত শির,
ভয় লাগে গার্ডের চাকুরিকে।

Monday 16 November 2009

আইন

আইন

কোন আইনের কোন ধারাতে
লেখা আছে সন্ধ্যা রাতে

চড়ুই পাখির ডিম আনতে
ছুটলে দেশের সীমান্তে

ঘুরিয়ে পরা চটির জুতো
নিয়মনীতির বহির্ভুত?

Sunday 15 November 2009

দেশে দেশে

দেশে-দেশে

কখন কে যে আফ্রিকায়,
শাপলা ফুলের পাপড়ি খায়,
সেটা দেখা নয়তো আমার দায়িত্ব।

হঠাত্ কেন সিঙ্গাপুরে,
মাঝ আকাশে ফিঙ্গা পুড়ে,
জানতে হলে পড় তাদের সাহিত্য।

দিন-দুপুরে খাসী হাতে,
দেশের নেতা রাশীয়াতে,
গড়ায় কেন মাটিতে কী দরকারে?

যারাই গেল তান্জানিয়া,
ব্যস্ত কেন গান্জা নিয়া;
সেটা জানে তমুক দেশের সরকারে।

জামাই কেন জামাইকায়
অন্য লোকের কামাই খায়,
আবার রাগে।

যা’ই বা তুমি করবা চীনে
তা’ই করেছে অর্বাচীনে,
তোমার আগে।

যখন-তখন মায়ানমারে,
সেনার প্রধান বয়ান মারে,
জুজুর ভয়ে কিসব করে গুজুর- গুজুর।

মজার খাবার বতসোয়ানায়,
বাপকে দিয়ে বৎস আনায়,
খাবার এনে বলেন বাবা, ‘এই তো হুজুর’।

Saturday 15 October 2005

হিসেবের ভুল

হিসেবের ভুল

ওরে বাবা এ ঘরে
কে ঘুমোয় বেঘোরে?
কে গো রে,  কে গো রে?

কে আবার ব্যাটা চোর,
গায়ে ভরা ক্যাট-আঁচড়,
বেড়ালের ধমকে,
ছেড়ে গ্যাছে দম ওকে।

ওড়ে ব্যাটা বোকা চোর,
একবার খালি চা'
পুরেছিলি থলেতে
বিড়াল না গালিচা?



সহজ বিচার

সহজ বিচার

কারা নাকি পা হারালো
তারি খোঁজে পাহাড় আলো
করে ফ্যালে সকলে,
সারারাত কেটে যায় ধকলে।

আমি বলি, এতো সোজা
শুধু শুধু কেন খোঁজা?
কেন গড়িমসি?
কে ছিল পাহারায়?
দিয়ে দে আহা রায়?
সেই ব্যাটা দোষী।

খেয়ালী

খেয়ালী

হয়ো না গো কাঠ এতে
যদি দ্যাখো মাঠেতে
নবনীতা সেন জি
পরে নীল গেঞ্জি
হাতে নিয়ে পিয়ানো
বলে বাপু ঘি আনো
আন ভাজি, সাতকরা
ভেলপুরি, সাজনা
হবে বাজিমাত করা
ভয়ানক বাজনা।

বীণা রায়

বীণা রায়

নদী কিনারায়
মিস বীণা রায়
কেন যে দাঁড়ায়
আমি কি তা জানি?

শুধু দেখি তার
নীল শাড়ি পাড়
আকাশে ভাসায়,
আমাকে শাসায়।

পাশে ইদারায়
বসে কেদারায়
যুবকটা কেন
দ্যায় হাতছানি?

নদী কিনারায়
মিস বীণা রায়
কেন যে দাঁড়ায়
আমি কি তা জানি?

বদরাগী

বদরাগী

হামবড়া লোকটা যে
ভারী খিটিমিটি

ঘাম ভরা হাতে তার
খাম ভরা চিঠি।

মারকুটে সে লোকের
চিরকুট পেলে

রেগেমেগে বধূ তার
খড়কুটো গেলে।

সেলুনে তুলকালাম

সেলুনে তুলকালাম

নাপিত ব্যাটার বাসায় গিয়ে
দিলাম তাকে ঝাড়ি,

'চুলের উপর হাত দিবি না
কাটবি শুধু দাড়ি।
নইলে খাবি ঘুসি,
আমি আবার মাথায় আমার\
অনেক উকুন পুষি'

বসিয়ে রেখে ঘণ্টা দেড়েক
মাথায় মেরে লোহার পেরেক,
বললো হেসে নাপিত ব্যাটা,
'কি ভাই, এখন খুশী?'

ধূমকেতু

ধূমকেতু

ঘটনায় ঘোট নাই
সাধারণ তুচ্ছ,
ধূমকেতু এলো এক
নেড়ে তার পুচ্ছ।

তাই দেখে রেগে বলে
তারকার গুচ্ছ,
এত রাতে একে একা
কাকে তুমি খুঁজছো?

ধূমকেতু হেসে বলে,
'পৃথিবীর কাছ্‌
হৃদয়ের কিছু কথা,
বলিবার আছে।

সাত আট যুগ তাই
পর পর আমি,
পৃথিবীর কাছে এসে
কিছুদিন থামি'

সব শুনে হতবাক
চাঁদ তারা সূর্য
চঞ্চলা ধূমকেতু
তারো এত ধৈর্য?

প্রবাসী

প্রবাসী

কেউ কেউ বিমানে
কাগজের রীম আনে
কেউ আনে শুটকির কৌটা।

কারো কারো লাগেজে
পান আনা লাগেজে
কেউ আনে বিয়ে করা বউটা।

দুলালের পরামর্শ

দুলালের পরামর্শ

বলেছিল দুলালে,
ভাগ্যেতে কুলালে
খেতে পারো শরবত
নদী আর পর্বত
আধাআধি গুলালে,

বলেছিল দুলালে।

ঈদের বাজার

ঈদের বাজার

এমন কি রাত
তখন বাজে মাত্র সাড়ে আটটা,

ঈদের বাজার
চতুর্দিকে ভীষণ ভিড়ের ভাট্টা

এমন সময়
পেছন থেকে মারলো কে যে গাট্টা

ব্যাপারটা কি হুমকিমূলক?
কিম্বা নিছক ঠাট্টা?

আজব কারুকাজ

আজব কারুকাজ

দেয়ালে দেখেছি মুরাল
হাতীটা দিচ্ছে উড়াল
সাঁঝ আসমানে আর
রাজহাঁস মানে হার
তাহারই
বাহারি
পাখার ঝাপটে
আঁকা আছে তা পটে।